বেশ কিছু দিন ধরে বাজারে ডিমের দাম বেশি। এর মধ্যে পাইকারি আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ পাল্টা প্রশ্ন করেন, ডিম কি আমি মেশিন দিয়ে তৈরি করব?
ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবস্থা…আপনি সাপ্লাই দেখেন না…নাই তো! ডিম আপনার…সাড়ে চার কোটি, পাঁচ কোটি ডিম পাচ্ছি। কোথাও হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি। এখন ডিম কি আমি মেশিন দিয়ে তৈরি করব?’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দরের ঊর্ধ্বগতির রাশ টানতে সোমবার সন্ধ্যায় কারওয়ানবাজার পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। এ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। তবে বাজারে পণ্যের সরবরাহ যাতে বাড়ে ও দাম কমে আসে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সয়াবিন তেলের বিদেশের বাজারেও দাম বাড়তি, আমরা কীভাবে সমন্বয় করে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারি…। আমাদের দিক থেকে কোনো গাফিলতি নাই, হয়তো কিছুটা ভুল থাকতে পারে। আমরা যেটা শুনি, পেপারে দেখি, এমনভাবে বলে বাংলাদেশ আফ্রিকার ওই কোন দেশের মতো হয়ে গেছে, কিছুই পাওয়া যায় না, কিছুই হচ্ছে না। সবই একেবারে বেড়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, তাদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করে।’
‘আমাদের দেশে ভীতির সৃষ্টি হলে হয় কী, এক সের লাগবে, পাঁচ সের কিনে নিয়ে যায়। আমাদের দেশের প্রবণতা কিন্তু এটা,’ যোগ করেন তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দাম বেড়েছে সেটা স্বীকার করছি। তবে দাম বাড়ার কারণও আছে। চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম। বাজারে বর্তমানে সবজিপণ্যের সরবরাহে বেশ সংকট রয়েছে। কারণ, সবজির উৎপাদন কমেছে। গত কয়েকটি বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। এখন উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকলে যতই বাজার তদারকি করা হোক, দাম খুব কমিয়ে আনা যাবে না।’
দাম বেঁধে কিছু করা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যবধানটা যাতে কম থাকে। উৎপাদন করল ধরেন ১০০ টাকা, পাইকারি বিক্রি হলো ১২০ টাকা আর এখানে এসে বিক্রি হলো ১৫০ টাকা, এটা আমরা বরদাস্ত করব না।’
Discussion about this post