আভাস ছিল সপ্তাহ গড়ালে বৃষ্টি আসবে, হয়েছেও তাই। টানা কয়েকদিনের দাবদাহের মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি ঝরেছে।
তবে তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীতে অফিসগামীসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে পথে বের হওয়া মানুষ।
বুধবার সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। তবে বৃষ্টি মূলত শুরু হয়েছে ৯টার পর, সারাদিনই এমন বৃষ্টি থাকবে।“
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেট্রো থেকে নেমে রিকশায় উঠতে উঠতেই অনেকটা ভিজে গেলাম। বৃষ্টির কারণে গরম তো কমেছে, কিন্তু এখন অসুস্থ হওয়ার ভয়ে আছি।”
ঢাকার শাহবাগ, ফার্মগেইট, বাংলামটর, মিরপুর ১০ নম্বর এসব এলাকার কোথাও পানি জমতে দেখা যায়নি। কিন্তু পানি দেখা গেছে জাহাঙ্গীর গেইট এলাকায়।
সকাল থেকে কখনো জোরাল বৃষ্টি আবার কখনো থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে বহু মানুষকে দেখা গেছে ছাতা মাথায়। আবার যারা সকালে রোদ দেখে ছাতা ছাড়াই পথে বেরিয়েছিলেন, তাদের ভিজে ভিজেই যেতে হয়েছে। অনেকেই ভিজে ভিজে, কাউকে কাউকে ছাতা নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
মিরপুরের বাসিন্দা সামিয়ার কর্মস্থল পুরান ঢাকায়।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মেট্রো থেকে নেমে রিকশায় উঠতে গিয়েই অনেকটা ভিজে গেলাম। এখন অসুস্থ না হলেই হয়।”
মিরপুরের আরেক বাসিন্দা অয়ন রহমান সাধারণত মতিঝিলে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন সকাল ৮টার দিকে। বৃষ্টির হতে পারে তখন তিনি সেটি আঁচ করতে পারেনিন।
অয়ন বলেন, “সে কারণে ছাতা নিয়ে যাইনি সাথে। বৃষ্টি শুরু হইছে, এখন ভিজে ভিজে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “বৃষ্টি আজকের দিনডা শ্যাষ কইরা দিল। এখন এইখানে লোকজনের ভিড় থাকত। কিন্তু বৃষ্টির কারণে লোক নাই। বেচাকেনা কম হবে।”
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
সারদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়ান কমতে পারে, বলা হয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
Discussion about this post