বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্বশীল পদে ছিলেন। তবে রোববার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব উমামা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমি উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলাম।’
উমামা পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পথচলা। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের অনেকের চিন্তা-চেতনার জগতকে যেমন পালটে দিয়েছে, তেমনই কাজের পরিসরও ব্যাপক মাত্রায় বিস্তৃত করেছে! লড়াইয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে! পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, সময়ের প্রয়োজনে এবং সামগ্রিক বিবেচনায় আমার পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করি। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাথে আমার যাত্রা এখানেই সমাপ্ত হলো।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আশা করি, ছাত্র ফেডারেশন দেশের আপামর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সূচিত হওয়া নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে তার সাংগঠনিক কাঠামোতে আরো গভীরভাবে ধারণ করে সামনের দিকে আগুয়ান হবে!’
এ বিষয়ে উমামা গণমাধ্যমকে জানান, ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন। এ বিষয়ে দাপ্তরিক সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, এখন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিবুর রনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সিন্ডিকেট। এর মধ্যে দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে এসেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
Discussion about this post