পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলা তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক কালবেলাকে বলেন, রাতে ঢাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
একেএম শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। শহীদুল হক পুলিশ সুপার হিসেবে চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, রাজশাহী রেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের কার্যভার পালন করেছেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১৪ সালের শেষদিন আইজিপির দায়িত্ব পান এবং ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারিতে অবসরে যান।
তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নরবালাখানা গ্রামে। তার ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আরেক ভাই নুরুল হক ব্যাপারী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
Discussion about this post