নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে যখন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র হাই কমান্ড পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রাখার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং সবার সাথে ভ্রাতৃপ্রেমী সম্পর্ক স্থাপনে ব্যস্ত, তখন নামধারী কিছু কুচক্রী মহল ও বিএনপি পরিচয় বহনকারী নেতা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা সর্বদা হামলা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত।
বাস্তবতায় এমনটাই দেখা গেলো বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের নয়াখালী গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি শাজাহান রাড়ী ও তার ছেলেকে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল চলতি মাসের ৩০ আগস্ট সন্ধ্যার পরে অতর্কিত হামলা করে।
কে বা কাহারা হামলা করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শাজাহান রাড়ী ও তার ছেলে বলেন, বরিশাল উওর জেলার সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদের নেতৃত্বে, মফিজ রাড়ি ছেলে মনান্ন রাড়ী(৬৫), মোকলেস রাড়ী, বাবুল রাড়ী, মতিন রাড়ীর ছেলে সাইদুল রাড়ী, মোকলেস রাড়ীর ছেলে স্বপন রাড়ী, বাবুল রাড়ীর ছেলে কবির রাড়ী, জাহাঙ্গীর রাড়ী ও রুহুল আমিন রাড়ীর ছেলে মোক্তার রাড়ী
সূত্রে বিশদভাবে জানা যায় যে, নয়াখালী মাঠখোলা বাজার কমিটির সভাপতি শাজাহান রাড়ী ও তার ছেলে মোঃ আফসার হোসেন রাড়ী বাজার থেকে রাত ৮ টায় বাড়ি রওনা হলে পথিমধ্যে কিছু বিএনপি নামধারী ও মাদক ডিলাররা পথ আটকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দিয়ে উপুর্যুপরি হামলা চালায়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই রামদা দিয়ে কোপ, হাতুড়ি ও জিআই পাইপ দ্বারা আঘাত করতে থাকে।
সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যারা হামলা করছে, তারা ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামী পরিবারের সাথে সর্বদা আঁতাত করে চলে। স্থানীয় বিএনপি’র নেতা ও কর্মীদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদ সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ এর অনুসারী কর্মী।
মারধরের এক অবস্থায় অবস্থার বেগতিক দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
শাজাহান রাড়ীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সৈয়দ নাঈম ইসলাম তুহিন বলেন দলের নাম বিক্রি করে যদি কোন নেতা বা কর্মী দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে তাহলে সে দলের লোক নয়। এই অপরাধের সাথে যদি ইউনিয়ন যুবদলের নেতা জড়িত থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই আমরা দলীয় ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াছিনুল হক বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোন অভিযোগ পাই নি, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া ইয়াছিনুল হক আরো বলেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আপামর জনগণ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে, এর মধ্যে কেউ যদি অরাজকতা সৃষ্টি করতে আসে, পরিস্থিতি ঘোলাটে করার পায়তারা করে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
Discussion about this post