২০১১ সালে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুককে সংসদ ভবনের সামনে বেদম মারধরের ঘটনায় আজ সোমবার মামলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন জয়নুল আবদিন ফারুক নিজেই। বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করা হয়।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব দে প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে হরতালের সমর্থনে ফারুক এবং তৎকালীন সংসদ সদস্য সৈয়দা আশরাফি পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, এ বি এম আশরাফ উদ্দিনসহ বিএনপির অন্য সমর্থকেরা মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। সেই সময় হারুন ও বিপ্লবের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্য মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা এবং দুর্ব্যবহার শুরু করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতারা পুলিশকে সংযত আচরণ করতে বললে হারুন ও বিপ্লব হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে ফারুকের মাথায় আঘাত করেন। সেই সময় তিনি ন্যাম ভবনের দিকে দৌড়ে হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা (হারুন ও বিপ্লব) ফারুককে রাস্তায় টেনে নিয়ে যান এবং তাঁর বুকে পিস্তল ধরে হত্যার হুমকি দেন।
সেদিন যা ঘটেছিল
২০১১ সালের ৬ জুলাই তিনিসহ বিএনপি–দলীয় ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য সংসদ ভবনের সামনে মিছিল করার চেষ্টা করছিলেন। তখন তাঁদের বাধা দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। একপর্যায়ে তাঁদের নেতৃত্বে সংসদ ভবনের সামনে বেদম মারধর করা হয় বিএনপি নেতা ফারুককে।
Discussion about this post