ড. ইউনূস বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি এত স্যাক্রিফাইস করতে পারে, দেশের মানুষ যদি এত স্যাক্রিফাইস করতে পারে তাহলে আমারও কিছু দায়িত্ব আছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ড. ইউনূস বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হলে আমি প্রথমে রাজি হতে চাইনি।
আমি তাদের বলেছি আমার বহু কাজ আছে যেগুলো আমাকে শেষ করতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাকে বারবার অনুরোধ করে বলেন, আমরা এরকম একটি রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করে সফল হয়েছি। এই আন্দোলনে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, বহু শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দেশ পরিচালনার।
সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি দায়িত্ব নেন তাহলেই সেটা সম্ভব। আপনি দায়িত্ব নিতে রাজি না হলে সেটা আমাদের কারও জন্যেই ভালো হবে না। সে কারণেই আপনাকে আমরা অনুরোধ করছি দায়িত্ব নিতে।’তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যখন এই কথা বলেন তখন আমি নিজেও বিবেচনা করে দেখলাম, এই শিক্ষার্থীরা এত আন্দোলন করেছে, তাদের এজন্য এত মূল্য দিতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা যদি এত স্যাক্রিফাইস করতে পারে, দেশের মানুষ যদি এত স্যাক্রিফাইস করতে পারে তাহলে আমারও কিছু দায়িত্ব আছে। তখন আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে রাজি আছি বলে শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি।’এর আগে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরো দুজন সমন্বয়ক।
ভিডিও বার্তায় নাহিদ জানান, প্রফেসর ইউনূস এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন৷অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। চিকিৎসার প্রয়োজনে এখনো তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি কখন দেশে ফিরবেন তা আজ জানা যাবে বলে ডেইলি স্টারকে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
Discussion about this post